সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফকে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ বিদায় জানাবে সিসিক পরিষদ

জুমাস ডেস্ক: আগামী ৮ নভেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন) ২০০৯-এর ৬ ধারা’ মোতাবেক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে দিয়ে ৭ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। তবে বর্তমান মেয়রের দায়িত্ব ছাড়ার মুহুর্তে মেয়র আরিফকে ‘আয়োজনের মাধ্যমে’ বিদায় জানাবে (সিসিক) পরিষদ।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুন পঞ্চম সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল) পান ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট।

টানা দুই বারের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার দলীয় নির্দেশনা মেনে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।
আগামী ৭ নভেম্বরের পর থেকে আর তিনি নগরপিতার দায়িত্বে থাকছেন না।
সিসিক সূত্র জানিয়েছে, মেয়র আরিফ দায়িত্ব হস্তান্তরের আগের দিন তাকে ‘আনুষ্ঠানিক ভাবে’ বিদায় জানানো হবে।

গত রবিবার (৬ আগস্ট) নগরভবনে সিসিক পরিষদের অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড থেকে টানা ৫ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ এ বিষয়ে জানান- আগামী ৭ নভেম্বর মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হবে। এদিনই তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের।

জনাব আজাদ আরও বলেন, এটা ঠিক বিদায় সংবর্ধনা নয় ‘আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়’ জানানো। সিটি করপোরেশন গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সিসিক পরিষদ থেকে এমন উদ্যোগ আগে কখনও নেওয়া হয়নি। এই প্রথম আমরাই মেয়রকে ‘আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়’ জানানোর কথা ভাবছি।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য। ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের আমলে আরিফুল হক সিসিকের একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের আশীর্বাদ হয়ে তিনি সিলেটের প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হন। সেসময় তাকে ‘ডিপ্লোম্যাটিক লিডার’ হিসেবে আখ্যা দেন সাইফুর। ওই সময় আরিফ সিটি কর্পোরেশনের নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে ২০১৩ সালের ১৫ জুন মনোনয়ন নিয়ে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরীর। ঐ নির্বাচনে তৎকালীন মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো মেয়র হন তিনি। আবার ২০১৮ সালে ফের বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি মেয়র সিসিকের মেয়র নির্বাচিত হন।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *