জুমাস ডেস্ক: বাংলাদেশে যেসব পণ্য বা সেবা ভারত রপ্তানি করে, তাতে বিদ্যুতের অংশীদারত্ব বাড়ছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এই বিদ্যুতের বেশির ভাগই রপ্তানি করেছে আদানি গোষ্ঠী, যাদের একটি কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই বাংলাদেশে বিক্রি করার কথা ছিল।
ভারতের শিল্প গোষ্ঠী আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আদানি গ্রুপ জানায়, তারা বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডে স্থাপিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের ঝাড়খন্ডে স্থাপিত ‘গড্ডা প্ল্যান্ট’ ভারতের একমাত্র বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট, যেটি শুধুমাত্র বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি নিয়ে স্থাপিত হয়েছিল।
ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চলতি মাসে বিদ্যুৎ আমদানি–রপ্তানি সংক্রান্ত নির্দেশিকা সংশোধন করেছে ।
সোমবার (১২ আগস্টে) ওই সংশোধনীতে দেখা যায়, বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ সম্পূর্ণ বা আংশিক সরবরাহ না করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে ওই বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিডে যুক্ত করার অনুমোদন দিতে পারবে দেশটির সরকার। এতে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক কোনো ঝুঁকি কারণে তৈরি হওয়া আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে কোম্পানিটি।
গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আদানি পাওয়ার আরও বলেছে, ভারতের বিদ্যুৎ রপ্তানি নির্দেশিকার সংশোধন হলো একটি শিল্প–সক্ষম সার্বজনীন বিধান, যার লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্যমান ব্যবস্থাগুরো পরিবর্তন না করে বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রক্রিয়াগুলো সহজ করা। আমরা গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশেপফ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছি এবং এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের গুরুত্ব বুঝি এবং তাদের সঙ্গে হওয়া চুক্তি পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঝাড়খন্ডে স্থাপিত “গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র’ পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানি। তখন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন তিনি।