পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। রোববার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক অনাদি রঞ্জন মজুমদার (৫৫), মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার (২৫), নওশের আলী শেখের ছেলে সমীর শেখ (২০), কাঞ্চন শেখের ছেলে কাদির শেখ (৪০), বনগ্রামের শামসুল শেখের ছেলে মোসতাক আহমেদ (৪০), ইসমাইল হোসেন (৫৫), তৈয়ব আলীর ছেলে মো. হেমায়েত হোসেন (৩০), নড়াইলের বকুল শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার (৪০), ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের ছাত্রী আফসানা মিমি (২৪) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বিউটি আক্তার (২১) বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহণের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত বাসের মধ্যে থেকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ওসি আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক জানান, নিহতের সংখ্যা আপাতত ১৯ জন। হতাহত বহু রয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানা জানানো হবে।
পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।