মেসি-জাদুতে নকআউটে ইন্টার মিয়ামি

এবার অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচের শুরু একাদশে নেমে জোড়া গোলের পাশাপাশি ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ৪-০ গোলের বড় জয় এনে দিয়েছেন মায়ামিকে। বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৫টায় ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামে লিগ কাপের ম্যাচে আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে মেসির নেতৃত্বেই মাঠে নামে মায়ামি। জোরা গোলসহ একটি অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি, দলের অন্য দুই গোল করেছেন রবার্ট টেইলর। ক্রুজ আজুলের বিপক্ষেও গোল পেয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। আটালান্টার বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য গোল প্রায় খেয়েই বসেছিলো মায়ামি। তবে অফসাইডের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পায় মায়ামি। এরপর বাকি ম্যাচের পুরোটাই যেন মেসির জাদু। 

ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটেই  আটালান্টার জাল খুঁজে নেয় মেসির শট। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে আক্রমণে উঠেছিলো আটালান্তা। ম্যাচের ২২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন মায়ামি। গোলদাতা সেই দেবদূত মেসি। মাঝমাঠ থেকে নিজেই বল টেনে নিয়ে আটালান্টার রক্ষণে ঢুঁকে পড়েন মেসি। দারুণ দক্ষতায় আটালানাটা ডিফেন্ডারদের মধ্য দিয়েই আবার মেসির উদ্দেশ্যে বল বাড়ান টেইলর। ওয়ান টাচে সেই বল জালে জড়িয়ে দলকে আবারো উল্লাসে মাতান মেসি।  বিরতির আগে মায়ামির হয়ে তিন নম্বর গোলটি আসে রবার্ট টেলরের পা থেকেই। ৪৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির বাড়ানো বলে দুর্দান্ত এক ভলিতে আটলান্টার জালে বল জড়ান টেইলর। 

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আবারও মেসি ম্যাজিক।  এবার গোল না করে সতীর্থ টেইলরকে দিয়ে গোল করান মেসি। নিজেদের বক্সে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের ভুল পাসে বল বল পেয়ে যান মেসি । মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে আক্রমণে ওঠেন মেসি। ৫৩ মিনিটে বাঁ পায়ের শটে দলের স্কোর ৪-০ করেন টেইলর।

ম্যাচের ৭৮ মিনিটে মেসিকে তুলে নেন মায়ামি কোচ মার্টিনো। এর কিছু সময় আগে তুলে নেন বুসকেটসকেও। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আটলান্টার হয়ে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন তরুণ থিয়াগো আলমাদা। তবে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি এই তরুন ফুটবলার। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মায়ামি।এই নিয়ে মায়ামির জার্সিতে মাত্র ১১৮ মিনিট মাঠে নেমেই ৩ গোলের পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট করে ফেলেছেন মেসি। টানা দ্বিতীয় জয়ে লিগ কাপের নকআউট রাউন্ড-১৬ তে উঠে গেল মায়ামি।

খেলা শেষে রবার্ট টেইলর দলে মেসির ইমপ্যাক্টের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘মেসি যতবার বল নিয়ে গেছে, ততোবার আমাদের কেউনা কেউ দৌড়ে গেছে এবং তাতে অন্যদের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। আসলে সে বল পায়ে যে কোনো কিছু করতে পারে। সে ছোটো জায়গাতেই বল নিয়ে যেতে পারে এবং সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারে। সে দলের মধ্যে এতো কোয়ালিটি এনেছে বলবার নয়। সে বিশ্ব সেরা ফুটবলার। সে গোল করে, গোল বানিয়ে দেয়। তার সঙ্গে খেলতে পারাটা স্বপ্ন পূরণের মতো।’

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *