সিলেট স্ট্রাইকার্স এক ম্যাচ জয়ের পরেই আবার হারল

সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সি আর অধিনায়ক বদলের পর চলতি বিপিএলে অধরা জয়ের দেখা পেয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, এবার বোধ করি নিজেদের ফিরে পাওয়ার গল্প লিখবে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু, সেই আশায় গুড়েবালি। নিজ স্টেডিয়াম এবং সমর্থকদের সামনে শেষ ম্যাচটায় কিছুই করা হল না সিলেটের। বরং ৭৭ রানের বড় হার দিয়ে বিপিএলের সিলেট পর্ব শেষ করেছে তারা।

এবারের বিপিএলটা শুরু থেকেই ভাল যায়নি সিলেটের জন্য। আগের আসরে চমক দেখানো দলটি শুরুর ৫ ম্যাচেই হেরেছে। বিতর্ক ছিল তাদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়েও। এরপর মাশরাফি অবশ্য গিয়েছেন তার রাজনৈতিক কাজে। আর সিলেটের অধিনায়ক হয়েছেন মিঠুন। তাতে এক ম্যাচে জয় পেয়েছে। সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ মাঠে নেমেছিল তারা।

কিন্তু রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শুরু থেকেই কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল স্বাগতিক সিলেট। শুরুতে ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে রান জমা করতে ভুল হয়নি তাদের। বাবর আজম এবং ফজলে মাহমুদ দুজনে যোগ করেন ৫১ রান। এরপরেই জোড়া আঘাত হ্যারি টেক্টরের। ফজলের পর সাকিব আল হাসান। এদিন চারে ব্যাট করতে নেমে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে গোল্ডেন ডাক মারতে হয় সাকিবকে।

অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এবং বাবর এরপর স্কোর এগিয়ে নিতে থাকেন। ৮৮ রানে বাবর ফিরে যান ৪৬ রান করে। তবে রানের গতি সচল রাখেন সোহান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ২২ রান আর সোহানের ৪৬ রান রংপুরের স্কোর নিয়ে যায় ১৬২ পর্যন্ত।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় সিলেট। দলীয় ৫০ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ওয়ানডাউনে নামা সামিত প্যাটেল এবং রায়ান বার্ল ব্যতীত আর কেউই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি। শেখ মাহেদির ৩ উইকেটের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের দুই উইকেট সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।

শেষে অবশ্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন বার্ল। কিন্তু যোগ্য সঙ্গ পাননি এই জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার। ৪৩ রান করে আউট হন নবম উইকেটে। মোহাম্মদ নবী সিলেটের লেজ মুড়িয়েছেন দ্রুত। ৮৫ রানেই অলআউট স্বাগতিক সিলেট। রংপুরের জয় ৭৭ রানে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *