জুমাস ডেস্ক : ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ। আশা ছিল, সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে ঘুরে দাঁড়াবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে এখানেও সেই একই দশা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল শক্তিশালী দল ভারত।
রোববার (৬ অক্টোবর) গোয়ালিয়রের শ্রীমান্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে একশো পেরোয় বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৫ বলে ১২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ২৫ বলে ২৭ রান করেন শান্ত ও ৩২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ভারতের পক্ষে বরুণ চক্রবর্তী ও আর্শদীপ সিং নেন ৩টি উইকেট।
১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। দলীয় ২৫ রানে ওপেনার অভিষেক শর্মার উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৭ বলে ১৬ রান করে আউট হন অভিষেক।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন স্যাঞ্জু স্যামসন। ৪০ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ৬৫ ও ৮০ রানে জোড়া উইকেট হারায় ভারত।
সূর্যকুমার ১৪ বলে ১৯ ও স্যামসন ১৯ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর নিতিশ কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। তাদের ব্যাটে ৪৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় ভারত।
নিতিশ ১৫ বলে ১৬ ও হার্দিক ১৬ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।
ষষ্ঠ উইকেটে ১৮ রান যোগ করেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭৫ রানে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়কও। ২৫ বলে ২৭ রান করে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন তিনি। উইকেটে নেমে চার-ছক্কায় শুরু করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন রিশাদ হোসেন। তবে ৫ বলে ১১ রান করে বরুন ধাওয়ানের শিকার হন তিনি। এক শ’র আগেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেটে ২৩ রান যোগ করেন মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। দলীয় ১১৬ রানে তাসকিনের (১৩ বলে ১২) পতনের এক রান পরেই ফেরেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৩২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে ১২৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
ভারতের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল পেসার আরশদীপ সিং। ৩ ওভার ৫ বল করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ৩ উইকেট নেওয়া বরুন ৪ ওভারে দেন ৩১ রান। একটি করে উইকেট শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া, মায়াঙ্ক যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দর।