ভারতীয় যুবাদেরকে গুড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

ভারতীয় যুবাদেরকে গুড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

জুমাস ডেস্ক: “বাংলাদেশের যুবারা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভারতকে সামনে দাঁড়াতেই দেয়নি। ব্যাটে বলে ভারতীয় যুবাদের উড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রেখেছে টাইগার যুবারা।” শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমির ২ নম্বর মাঠে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৪২.৪ ওভারে ভারতকে ১৮৮ রানে গুটিয়ে ৪৩ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌছে যায় মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বাধীন দল। ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথম সেমিফাইনালে তারা পাকিস্তানকে হারায় ১১ রানে। বাংলাদেশের জয়ে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আরিফুল ইসলাম। ৯০ বলে ৯টি চার ও ৪ ছক্কায় ৯৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন এই মিডলঅর্ডার। ছক্কা মেরে তিন অংক স্পর্শ করতে গিয়ে ৯৪ রানে আউট হন তিনি। ১০১ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন আহরার আমিন। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এই দুজন দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। গড়েন চতুর্থ উইকেটে ১৩৮ রানের জুটি। আরিফুল যখন আউট হন, জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। সেই রান তুলতে আরও ২টি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শিহাব জেমসের (৭ বলে ৯ রান) পর আউট হয়েছেন আহরার (১০১ বলে ৪৪ রান)। অধিনায়ক মাহফুজুর (৩ *) ও শেখ পারভেজ (২ *) অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। মারকুটে ওপেনার জিশান আলম (০) ইনিংসের প্রথম ওভারেই বোল্ড হন। ১৩ রান করা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ষষ্ঠ ওভারে উইকেট দেন তিওয়ারিকে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ওপেনার আশিকুর রহমানও আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শতক করা আশিকুর এবার রান আউট হন ২২ বলে ৭ রান করে। এরপরই চতুর্থ উইকেটের সেই ম্যাজচয়ী জুটি। এর আগে বল হাতে লক্ষ্য নাগালে রাখতে দারুণ অবদান রাখেন মারুফ মৃধা। ৪১ রানে ৪ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। ২৯ রানে দুটি নেন শেখ পারভেজ জীবন। ৩৯ রানে দুটি শিকার ধরেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ। মৃধার তোপে ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ধাক্কাটা প্রিয়ানশু মোলিয়া ও শচীন দাসের জুটিতে কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠে ভারত। কিন্তু ১২ তম ওভারে রোহানাত উদ্দৌলার বলে ১৬ রান করে বোল্ড হন শচীন। রোহানাতের একই স্পেলে আউট হয়েছেন ১৯ রান করা প্রিয়ানশুও। একই ওভারে সদ্য ক্রিজে আসা অভিনাশকে রান আউট করেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান। বাংলাদেশের দুই পেসারের বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে ৬১ রান ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। এরপর ভারত দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় মুশের খান ও মুরুগান অভিষেকের সৌজন্যে। দুজনই ফিফটি করে ভারতের রানটাকে সম্মানজনক একটা জায়গায় নিয়ে যান। ইনিংসের ৩৪ তম ওভারে ৬১ বলে ৫০ রান করা মুশেরের ইনিংস থামান অধিনায়ক মাহফুজুর নিজেই। ভয়ংকর হয়ে ওঠা অভিষেকের উইকেট নিয়েছেন মারুফ। আউট হওয়ার আগে ৭৪ বল খেলে ৬২ রান করেছেন তিনি। এরপর ভারতের ইনিংস ৪২.৪ ওভারে ১৮৮ রানে শেষ হয়।রোববার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে এগারোটায় শুরু ফাইনাল।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *