জুমাস ডেস্ক: দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৩৯ রানের টার্গেটে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল। এরপরই দ্রুতই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। সেইসঙ্গে ম্যাচও কঠিন করে ফেলে তারা। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো টাইগাররা।
রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে ব্রায়ান বেনেট ও জনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে ভর করে ১৩৮ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা।
২৪ বলে ৪৫ রান করেন ক্যাম্পবেল। এছাড়া ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ ও তাসকিন নেন ২টি করে উইকেট।
১৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন দাস। অন্যদিকে কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন তানজিদ তামিম। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন। এরপর বৃষ্টি নামলে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি থামলে আবারও খেলা শুরু হয়।
এরপরই দলীয় ৪১ রানে ১৯ বলে ১৮ রান করে আউট হন তানজিদ তামিম। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন লিটন।
তবে দলীয় ৬১ ও ৬২ রানে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শান্ত ১৫ বলে ১৬ ও লিটন ২৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন। এরপর বৃষ্টি নামলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে জাকের আলি অনিক ও তাওহিদ হৃদয় মিলে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে দলীয় ৯৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান জাকের। এরপর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন হৃদয়। রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ১৬ বলে ২৬ ও হৃদয় ২৫ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৩৮/৭ (ক্যাম্পবেল ৪৫, বেনেট ৪৪, গাম্বি ১৭, আরভিন ১৩, রাজা ৩, এনদোলোভু ৫;
বোলিং: শরীফুল ১/২৬, মেহেদী ১/১৮, তাসকিন ২/১৮, সাইফউদ্দিন ১/৩৭, রিশাদ ২/৩৩)।
বাংলাদেশ: ১৮.৩ ওভারে ১৪২/৪ (হৃদয় ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ২৬, লিটন ২৩, তানজিদ ১৮, নাজমুল ১৬, জাকের ১৩;
বোলিং: জঙ্গুয়ে ২/৩৫, এনদোলোভু ১/২৫, এনগারাভা ১/৩২)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: তাওহিদ হৃদয় (বাংলাদেশ)।