১৭২ রান করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। দারুণ শুরুর পরও গুজরাট টাইটান্সের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রত্যাশিত রান করতে পারেনি তারা। তবে বোলারদের নৈপুণ্যে এই রানই যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে। গুজরাটকে নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে চেন্নাই।
২০২১ সালে চতুর্থবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর গত আসরে যাচ্ছেতাই টুর্নামেন্ট পার করেছিল চেন্নাই। এবার শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে দশমবার ফাইনালের টিকিট পেলো মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ১৭৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৭ রানে থেমেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট। মঙ্গলবার ঘরের মাঠ চেপুকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৫ রানে জিতেছে চেন্নাই।তবে এখনও গুজরাটের শিরোপা ধরে রাখার আশা বেঁচে আছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা লড়বে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার এলিমিনেটরে জিতে যাওয়া দলের বিপক্ষে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের বিজয়ী দল আগামী ২৮ মে আহমেদাবাদে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে।
১৭২ রান করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। দারুণ শুরুর পরও গুজরাট টাইটান্সের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রত্যাশিত রান করতে পারেনি তারা। তবে বোলারদের নৈপুণ্যে এই রানই যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে। গুজরাটকে নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে চেন্নাই।২০২১ সালে চতুর্থবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পর গত আসরে যাচ্ছেতাই টুর্নামেন্ট পার করেছিল চেন্নাই। এবার শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে দশমবার ফাইনালের টিকিট পেলো মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
আউটফিল্ডে শিশির না থাকার সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগায় চেন্নাই। পিচ ছিল মন্থর, গ্রিপ ও টার্ন পাওয়ায় স্পিনাররা দারুণ বোলিং করে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখেন। রবীন্দ্র জাদেজা ও মাহিশ ঠিকশানা ছিলেন চমৎকার। দুজনে মিলে ৮ ওভার বল করে ৪৬ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। তাতে মাঝের ওভারগুলোতে এলোমেলো গুজরাটের ব্যাটিং লাইন।
নতুন বল হাতে ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরানো দীপক চাহার পরের স্পেলে ফেরান ইনিংস সেরা পারফর্মার শুভমান গিলকে (৪২)। চেপুকে উচ্ছ্বসিত দর্শকদের কিছুটা ভয় ধরান রশিদ খান। মাথিশা পাথিরানা ও তুষার দেশপান্ডের আলগা বলে ব্যাট হাতে ঝলক দেখান তিনি। কিন্তু চেন্নাইয়ের দারুণ ফিল্ডিংয়ে তার ওপর চাপ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত সঙ্গের অভাব তাকে হতাশ করে। ১৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩০ রান করেন তিনি।
ঠিকশানা, জাদেজা, চাহার ও পাথিরানা দুটি করে উইকেট নিয়ে চেন্নাইয়ের জয়ে অবদান রাখেন।রান তাড়ায় এই আসরে চমক দেখানো গুজরাট অনুকূল কন্ডিশন না পাওয়ায় পেরে ওঠেনি। শিশির থাকলে হয়তো ভিন্ন দৃশ্য দেখা যেতো। এর আগে চেন্নাই রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের হাফ সেঞ্চুরির পর ডেভন কনওয়ে, আজিঙ্কা রাহানে, আম্বাতি রাইডু ও জাদেজার ছোট ছোট ক্যামিওতে ৭ উইকেটে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে। ৪৪ বলে ৬০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন রুতুরাজ।