আইপিএলে অভিশ্বাস্য এক ম্যাচ উপহার দিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। গতকাল বুধবার লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে তারা একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠালেন। দুজনের তাণ্ডবে ১৬৬ রানের লক্ষ্য মাত্র ৯.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় তারা। আর এতে রেকর্ড বইয়ে দলটির নাম উঠে গেল। হায়দরাবাদ জয় পায় ১০ উইকেটেই।
পুরুষদের যেকোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০ ওভারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় এটিই। যেখানে আগের রেকর্ড ছিল ব্রিজবেন হিটের। বিগ ব্যাশের ২০১৯ আসরে মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে ১৫৭ রানের লক্ষ্য ঠিক ১০ ওভারে ছুঁয়ে ফেলেছিল তারা।
আইপিএলে একশর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়ায় সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ডও এখন হায়দরাবাদের, ৬২ বল। ২০২২ আসরে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালসের ৫৭ বল হাতে রেখে জয় ছিল আগের রেকর্ড।
এদিকে আইপিএলের ম্যাচে প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ রানের নজিরও নতুন করে লেখা হয়ে গেল এই ম্যাচে। অবিশ্বাস্যভাবে এই তালিকায় প্রথম তিনটি নামই হায়দরাবাদের এবং সবগুলোই হলো চলতি আসরে।
এদিন হায়দরাবাদের ইনিংসে ছক্কা ১৪টি, চার ১৬টি। অর্থাৎ ১৪৮ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে, স্রেফ ৩০ বলে। দলকে রেকর্ড গড়া জয় এনে দিতে ৩০ বলে ৮টি করে ছক্কা ও চারে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হেড। ৬ ছক্কা ও ৮ চারে ২৮ বলে ৭৫ রান করেন অভিষেক।
বুধবার হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে পঞ্চম ওভারে নাভিন-উল-হাকের শেষ পাঁচ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কার পথে হেড ফিফটি পূর্ণ করেন ১৬ বলে। আসরে এই নিয়ে দুই ম্যাচে ১৬ বলে ফিফটি করলেন তিনি। হায়দরাবাদের হয়ে যা যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটি। যে রেকর্ডে হেডের সঙ্গী অভিষেক।
অভিষেক এদিন ফিফটি করেন ১৯ বলে। হেডের সেঞ্চুরিও একটা সময়ে মনে হচ্ছিল সম্ভব। জয়ের জন্য দলের দরকার যখন ২৩ রান, শতকের জন্য হেডেরও প্রয়োজন তখন ২৩। তবে অন্য প্রান্তে অভিষেকও বাউন্ডারি মারায় হেডের সেঞ্চুরির সুযোগ আর থাকেনি।
টস জেতা লাক্ষ্ণৌ এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়ুশ বাদোনি। আর ২৬ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান।